সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজদিখান উপজেলার উত্তর বাসাইল গ্রামের সুমা রানী সরকার বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নিজের ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে সিরাজদিখানের আশা, ব্র্যাক,আমবেলা,পপি,এসএসসহ বিভিন্ন এনজিও ও জান্নাত বেগম,বিল্লাল,রিয়াদসহ ব্যক্তি মহলের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। আশা ছিল, ছেলে বিদেশে গিয়ে উপার্জন করে মায়ের কষ্ট ঘোচাবে, ঋণের টাকা শোধ করবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় ছেলে রিপন সরকার বিদেশে গিয়ে বেতনের টাকা মাযয়ের কাছে না পাঠিয়ে সমস্ত অর্থ তার স্ত্রী অঙ্কিতা রাণী মন্ডলের কাছে পাঠাচ্ছেন। ফলে সুমা রানী সরকার এনজিও ও স্থানীয় মহাজনদের ঋণ শোধ করতে পারছেন না।
এনজিওর কিস্তির চাপ, ঋণদাতাদের তাগাদা আর সংসারে অভাব-অনটনের কারণে তিনি এখন প্রায় না খেয়েই দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিবেশীরা জানান, এক সময় যার ঘরে ছিল হাসিখুশির পরিবেশ, এখন সেখানে নেমে এসেছে দুঃখ আর কষ্টের ছায়া।
সুমা রানী সরকার বলেন,আমি আমার ছেলে রিপন সরকার ও তার স্ত্রী অঙ্কিতা মন্ডলের কথায় ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য বিভিন্ন এনজিও থেকে ও কয়েকজন মানুষের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ এনেছি। এখন আমার ছেলে বিদেশে গিয়ে তার মাসিক বেতনের সব টাকা তার স্ত্রী অঙ্কিতা মন্ডল ও তার শাশুড়ির নিকট পাঠায়। টাকা চাইলে আমার খাওয়া পড়ার কোন টাকা না দিয়ে আমাকে মোবাইল ফোনে বকাঝকা করে আমাকে গলায় ফাসি দিয়ে মরে যেতে বলে। আমি আমার বসত বাড়ি বিক্রি করলেও এতো টাকা পরিশােধ করতে পারবো না। আমি আমার ছেলে রিপন সরকার ও ছেলের বৌ অঙ্কিতা রানী মন্ডলের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি,আমি না খেয়ে থাকি! আমি এর বিচার চাই আমি বাচতে চাই।
স্থানীয়রা বলেন, সুমা রানী সরকার তার ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। এখন ছেলেই যদি সাহায্যের হাত না বাড়ায়, তাহলে মায়ের বেঁচে থাকাই কষ্টের হয়ে উঠবে।
এমন হৃদয় বিদারক ঘটনার পর সমাজের সচেতন মহল সুমা রানীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
