নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের নুরনগর মীরেরডাঙ্গী এলাকাবাসী উদ্যোগে গত ২৪ অক্টোবর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উদ্দেশ্যমূলক ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশের প্রতিবাদে এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে ধর্মকে অপব্যবহার করার বিরুদ্ধে এবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করলেন দলিল লেখক মনিরুল হাসান তুষার। শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল হাসান তুষার বলেন, গত ২৪ অক্টোবর নুরনগর মীরেরডাঙ্গী এলাকাবাসাীর ব্যানারে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে সেখানে অনেক মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তথ্যগোপন করে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। আমি কখনো মাদ্রাসার বিপক্ষে ছিলাম না, ভবিষ্যতেও থাকব না। কিন্তু মিথ্যা ও জালিয়াতির উপর দাঁড়িয়ে একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হতে পারে না। তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছিল, নুরনগর মীরেরডাঙ্গী নুরে-মদিনা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য তারা খোরশেদ আলমের কাছ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন এবং অবশিষ্ট সাড়ে ৫ শতাংশ জমি খোরশেদ আলম দান করেছেন। কিন্তু রেজিষ্ট্রির ক্ষেত্রে দলিল লেখন বুলবুল কৌশলে তথ্য গোপন করে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে এটা কাম্য নয়।
এছাড়া আমার চাচা খোরশেদ আলম যে দলিল বলে জমি ক্রয় করে মাদ্রাসায় জমি দান করেছেন ঐ দলিলের অর্ধেক জমির মালিক আমার বাবা সায়োরার মাস্টার। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে আমার চাচা এটা গোপন করেছিলেন। আমার বাবা সাথে বন্টন না করেই খোরশেদ আলম তাদের জমি লিখে দিয়েছেন। আর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সব জেনেও আমাদের হক না দিয়ে জোরপূর্বক সেখানে মাটি ফেলছে। মনিরুল হাসান তুষার আরো বলেন, জমি মাপার সময় আমি ছিলাম এটা সত্য। তবে মাপে আমি আপত্তি করেছিলাম।
ফেসবুকে আমি কোন ইসলাম বিরোধী কথা লিখি নাই। কোরআন হাদিসের আলোকে কিছু লিখা পোস্ট করেছিলাম। কিন্তুু তারা আমাকে ইসলাম বিদ্বেষী প্রমাণের চেষ্টা করছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
